সি আর বি বনাম বনখেকো
ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলাম

আমলাদের একটি অংশ সবসময় হারামজাদা। এরা বৃটিশ পাকিস্তান হয়ে এখন বাংলাদেশে। জনগণের কষ্টার্জিত টাকায় খেয়েপড়ে দেশের দশের ক্ষতি সাধন করা তাদের প্রধান বৈশিষ্ট্য ।অন্য আরেকটি অংশ আছে যাদের কথা না বললে নয়, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে অপরাজনীতির কল্যানে লুটপাট আর জবরদখল করে ধনকুবেরের সংখ্যা বেড়েছে জ্যামিতিক হারে।
এই দুই প্রজাতির মানুষ জানোয়ারগুলো যখন যা পেয়েছে নিজ স্বার্থে ধ্বংস করেছে। এমন একটি ঘটনা সি আর বি’তে ঘটতে যাচ্ছে বলে আমার মনে হয়।
উন্নত দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলেজ -হাসপাতাল ও শিল্পকারখানাগুলো তৈরি হয় শহরের বাহ্যিক অংশে যাতে করে শহরের অভ্যন্তরের জীবনমান স্বাভাবিক থাকে। পরিতাপের বিষয় হলেও সত্য আমাদের দেশে কেন যেন সব কিছু শহরের কেন্দ্রে নিয়ে আসার প্রতিযোগিতা চলে।
আমাদের ক্লিনিক হাসপাতালগুলোর অনিয়ম দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সকলের জানা। পুরানো সব ক্লিনিক হাসপাতালকে একটা নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনা গেলে দ্বিগুন সংখ্যক রোগী সামাল দেওয়া যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মধ্যবর্তী অংশ সি আর বি’তে আরেকটি বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। করোনা সংকটে ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্টের ব্যাপক প্রাণনাশের সময় অক্সিজেনের হাহাকার আমরা দেখেছি। সামান্য একটু অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর মিছিল বিশ্বকে কাঁদিয়েছে।
দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশেও এখন সেই দুঃসময় চলছে। মানুষ গাছপালা কেটে প্রকৃতি ধ্বংস করছে বলে প্রকৃতিও আজ মানুষের সাথে বিরুপ আচরণ করতে শুরু করেছে।
আমরা মাত্র দিন কয়েকদিন আগে দেখলাম ইউরোপ ও চীনে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা ও সাইক্লোন। আমেরিকা কানাডার মত শীত প্রধান দেশে তীব্র তাপদাহ। প্রকৃতির এমন সব হেয়ালি আচরণে শত শত মানুষের মৃত্যু আমাদেরকে কাঁদিয়েছে।
সি আর বি ধ্বংস করে আমরা কাঁদতে চাই না। ধ্বংসের আগে আমরা কাঁদবো, ক্রন্দনের জোয়ারে বনখেকোদের ধুয়েমুছে বঙ্গোপসাগরে নিপাত করবো। সাফ সাফ বলে দিতে চাই শত বছরের পুরানো গাছ কেটে এখানে হাসপাতাল করতে দেওয়া হবে না।
হাসপাতাল করে মানুষকে সেবা দেওয়ার আগে তোমরা মানুষ মারার ফন্দি এঁটেছো। চট্টগ্রামের শান্তিপ্রিয় মানুষ গাছ কেটে হাসপাতাল বানানোর ষড়যন্ত্র কখনো মেনে নিবে না। সুতরাং সময় নষ্ট না করে শহরের আউটারে উপযুক্ত জায়গা খুঁজে নিন যেখানে পরিবেশবান্ধব হাসপাতাল করা যায়।
লেখকঃ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, আঞ্জুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীন, ইউ.এ.ই কেন্দ্রীয় পরিষদ