ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি (রহ.) অবিশ্বাস্য বর্ণিল জীবন ও কর্ম

নাম ও পরিচয়

নাম তাঁর আবদুর রহমান। উপাধি জালাল উদ্দিন। মাযহাবে তিনি শাফিয়ি। আকিদায় আশআরি। তুর্কি মাতা এবং অনারব পিতার ঔরসে জন্ম হিজরি ৮৪৯ সালে। মিসরের আসইউতের অধিবাসী ছিলেন তাঁর পরিবার, সেজন্য সুয়ূতি। মামলুক রাজত্বকালে মিসরের কায়রোয় এতিম হিসাবে বেড়ে ওঠেন। মহীরুহ হয়ে ইন্তিকাল ৯১১ হিজরিতে। তিনি বলেন, তাঁর পূর্বপুরুষরা বাগদাদি ছিলেন।

তাঁর বড় পরিচয় কোনটা?

তিনি একজন মুজতাহিদ ইমাম, এটাই বড় পরিচয় হবে ? নাকি বড় পরিচয় হবে তিনি হাদিসের একজন মহান ইমাম, মুহাদ্দিসদের তাজ। তিনি ছিলেন একাধারে ইসলামিক আইনজ্ঞ, সূফি ও ইতিহাসবেত্তা। ইসলামের প্রতিটি জ্ঞানের বিষয়ে তাঁর সুচিন্তিত কিতাব পাওয়া যায়।

শিক্ষার্জন ও পাণ্ডিত্য

মাত্র আট বছর বয়সে কুরআন হিফয করেন।পরবর্তীতে ইলমের অগ্রযাত্রায় ঐশী বিধানের উপর রচনা করেন অনেকগুলো পরিপূর্ণ গবেষণাকর্ম। লেখেন ইসলামিক আইন ও বিধানের উপর কয়েকটা কিতাব। এমনকি আরবি বৈয়াকরণ হিসাবেও তাঁর ভাষাবিজ্ঞানের বই আছে। প্রায় দেড়শো শাইখের অধীনে তিনি পবিত্র জ্ঞানধারার শিক্ষণ প্রশিক্ষণ ও চর্চা চালান।

তাঁর শিক্ষকগণের কয়েকজন

শাইখুল ইসলাম সিরাজউদ্দিন বুলকিনি আশ শাফিয়ি আল মুহাদ্দিসের ইন্তেকাল পর্যন্ত তিনি তাঁর সাথে শাফিয়ি মাযহাব স্টাডি করেন।

হাদিসের বিখ্যাত ইমাম শাইখুল ইসলাম শারফুদ্দিন আল মুনাওয়ির সাথে তাফসির শিক্ষা করেন। ইসলামিক আইনের উসুলের বিখ্যাত বিশেষজ্ঞ জালাল উদ্দিন আল মহল্লির সাথে পড়ালেখা করেন, উভয়ে লেখেন ভুবনখ্যাত তাফসিরে জালালাইন শরিফ।

হাদিসের ইমাম শামসউদ্দিন আশ শাওকানি, তাকিউদ্দিন আশ শামনি আল হানাফি, মুহিউদ্দিন আল কিফায়ি সহ তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে আরো অনেক বিখ্যাতজনা ছিলেন।

ইলমের মুসাফির ও আমাদের মণ্ডুকতা

মিসর ও আশপাশের দেশগুলো ছাড়াও তিনি দামিশক, হিজাজ (মক্কা-মদিনা ও তৎসলগ্ন অঞ্চল), ইয়েমেন, বৃহত্তর ভারত, মরক্কো, মরক্কোর দক্ষিণের ভূমি। এককালে শিক্ষকতা করেছেন অনেক। হয়েছেন বহু বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের বড় দায়িত্বশীল, এমনকি প্রধানও। পরবর্তীতে শিক্ষকতা থেকে অবসর নিয়ে পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করেন গবেষণা ও রচনাকর্মে।

তিনি পশ্চিমা ও মধ্যপ্রাচ্যের দর্শন, বাক্যশৈলী, সূফিত্বের সাধনা, সংখ্যাতত্ত্ব, ঘড়িপূর্ব যুগের সময়বিজ্ঞান, এমনকি তৎকালীন চিকিৎসাবিজ্ঞান নিয়েও পড়ালেখা করেছেন। সেই সুদূর নবম শতকেই ইমাম সুয়ূতি র. ছিলেন সকল মাযহাবের অনুপম মেলবন্ধন। নিজে ছিলেন শাফিয়ি, অথচ শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে অন্য মাযহাবের অনুসারীদের কোন অভাব নেই। তাঁর প্রতি স্নেহ ভালবাসায় অস্থির শিক্ষক পাই আমরা হানাফি, আবার তাঁর অতি অনুগত ছাত্র পাই মালিকি।

আনন্দের ব্যাপার হলো, তিনি খোদ শাফিয়ি হয়েও কী নান্দনিক বইই না লিখেছেন ইমাম আবু হানিফা র. কে নিয়ে! তাবয়িদ আস সাহিফা বি মানাকিব আল ইমাম আবি হানিফা। আহা, কী নাম! ইমাম আবু হানিফার গুণাবলি বর্ণনার মাধ্যমে পুরো বইকে উজ্জ্বল করে তোলা- এটাই বইয়ে নাম।

এই সমস্ত ক্ষেত্রেই আমরা একটা বড় পার্থক্য পাই আমাদের যুগের সাথে। আমাদের যুগে আলিম বলতে স্রেফ কুরআন ও হাদিসের, তথা স্রেফ ফিকাহের জ্ঞানকেই উলুমুল ইসলাম হিসাবে দেখা হয়। তাও আবার একটা নির্দিষ্ট ঘরানার হতে হবে তাঁকে। শুধু সালাফি জ্ঞান, অথবা শুধু যে কোন একটা মাযহাবি জ্ঞান ইত্যাদি ইত্যাদি, তাও আবার মাযহাবের মধ্যে নিজ নিজ মানহাজের জ্ঞান। এর বাইরে কিছুই নয়। এই সব। এই এটুকু নিয়েই বিশ বছর বয়সী তরুণরা ডিগ্রিধারী শাইখ হয়ে পৃথিবীর প্রতিটা বিষয়ে সমাধান দিয়ে

জাতির পথপ্রদর্শক

এমনকি তারিখু ইসলামকেও এ যুগে ‘জ্ঞানের বাইরের বিষয়’ হিসাবে চিহ্নিত করার মাধ্যমে কুরআনের আয়াতসমূহের পরিপ্রেক্ষিত, হাদিসসমূহের পরিপ্রেক্ষিত এবং কনটেক্সটে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়া হয়। কী অবাক ব্যাপার, তারিখের স্টাডি ছাড়া কখনো ধর্মের স্টাডিকে মালায় গাঁথা সম্ভব নয়! আমাদের ইতিহাস কিন্তু ভিন্ন। হাজারো বছর ধরেই আলিম মানেই পলিম্যাথ (বহুত্বমেধাবী), আলিম মানেই পলিগ্লট (বহুভাষাবিদ)। অথচ সেযুগে আমরা দেখি, যিঁনি কবি, তিনিই দার্শনিক, তিনিই মনস্তাত্ত্বিক, তিনিই গণিতবিদ, তিনিই চিকিৎসক, তিনিই ভাষাবিদ, তিনিই ভাষালালিত্যবিদ, তিনিই রসায়নবিদ, তিনিই চিকিৎসক, তিনিই ইতিহাসবেত্তা, তিনিই মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকিহ, সূফি -এ রহমতের যেন শুরু আছে, শেষ নেই।

আসলে, একজন মানুষ যদি ইলমের পথে বহুদেশ সফর না করেন, বহু অঞ্চল সফর না করেন, বহু মাযহাব না ঘাঁটেন, বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু দিকদর্শন খুব কাছ থেকে না দেখেন, একজন মানুষ যদি ইতিহাস কীভাবে নিজেকে পুণ:পুণ আবর্তিত করে, ফিরিয়ে আনে, সেটা বুঝতে না পারেন, তিনি যদি বিশ্বমানবকে, বিশ্বমানবের সর্বমাত্রিক দর্শনকে খুব অনুপুঙ্খভাবে অনুভব না করেন, জ্ঞানবিজ্ঞানের সবগুলো শাখায় হৃদরস না পান, তিনি তো গ্লোবাল ধর্মের প্রতিভূ হতে পারেন না। ইসলাম তো আরবের, ভারতের বা চীনের ধর্ম নয়। ইসলাম মানবের ধর্ম। বিশ্বের ধর্ম। বিশ্বের সার্বিকতাকে যিঁনি অনুভব করতে পারেন, তাঁর সুবহানআল্লাহ ও আরেকজনের সুবহানআল্লাহর মধ্যেও আসমান জমিন তফাত থাকে, গভীরতার বিপুল পার্থক্য থাকে।

দুনিয়াত্যাগী

তারিখে মিসরে ইবন ইলিয়াস বলেন, চল্লিশ বছর বয়সেই সুয়ূতি লোকসংস্পর্শ ত্যাগ করেন। তিনি নীলনদের পাড়ে আল মিকইয়াস বাগানের প্রাকৃতিক শোভায় নিজেকে এমনভাবে হারিয়ে ফেলেন, যেন তিনি তাঁর অতীতের সহকর্মীদের কখনো চিনতেনই না। তাঁর প্রায় ছয়শো বই ও পুস্তিকার প্রায় সবই তিনি সেখানে রচনা করেন। রাজপুত্ররা, ধনী মুসলিমরা তাঁর দুয়ারে আসতে থাকত। নিয়ে আসত সম্পদ, টাকা, উপহার। কিন্তু তিনি সেসবের কিছুই গ্রহণ করতেন না।

এমনকি সুলতান তাঁর উপস্থিতি অনুরোধ করেন কয়েকবার। তিনি প্রতিবারই ফিরিয়ে দেন।সমকালীনদের মধ্যে মহীরুহ হয়েও তিনি রয়ে গেলেন একদম একা। রচনা করতে থাকলেন মহাকালের জন্য। অনাগত প্রজন্মগুলোর জন্য। ৬২/৬৩ বছর হায়াত পেয়ে তিনি জীবন-মরণেও নবীজি ﷺর সুন্নাহ পাবার বিরল সৌভাগ্যলাভ করেন, যা খুলাফায়ে রাশিদুন এবং নবীজি ﷺর আশিকগণের মধ্যে দেখা যায়।

তাঁর গ্রন্থ রিয়াদুল আনিকার ভূমিকায় তিনি বলেন, আমি আশা করি আল্লাহ এই বই গ্রহণ করবেন, এবং এই বইয়ের মাধ্যমে আমি নবীজি ﷺর শাফাআত পাবো।

অনন্য কর্মব্যস্ততা ও ভারসাম্য

তাঁর ছাত্র শামসউদ্দিন দাউদি আল মালিকি র. বলেন, আমি শাইখকে নিজ চোখে দেখেছি, একদিনে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন গবেষণাকর্ম (পুস্তিকা) লিখে শেষ করে সেগুলো সম্পাদনাও শেষ করতে। এসব করাকালীন সময়েই তিনি হাদিস শেখাচ্ছিলেন, এবং যে-ই আসছিল, তাকেই অনন্যভাবে জবাব দিচ্ছিলেন।

তাঁর তাসাউফ

তাসাউফে তাঁর বর্ণিত ধারাক্রম বা সিলসিলা গিয়ে মিলিত হয় শাইখ আবদুল কাদির জিলানি র.’র সাথে। তরিকায় তিনি শাজিলি। তাঁরা পারিবারিকভাবেই ছিলেন সূফিঘরানা, পারিবারিকভাবেই শাফিয়িও। তাঁর পিতা মিসরের বিখ্যাত শাইখু খানকা ও মসজিদে শাফিয়ি মাযহাবের দরস দিতেন।

শাজিলি তরিকার অবমানসের সত্য গ্রন্থে তিনি লেখেন, শরিয়াহর ইমামগণ সূফিদের যেসব বিষয় সমালোচনা করেন, আমি সেসবে গবেষণাদৃষ্টি দিয়েছি। একজন সত্যিকার সূফিকেও আমি অভিযুক্ত বিষয়গুলো লালন করতে দেখিনি। বরং, তাঁদেরকে বিদআতিরা এবং চরমপন্থীরা জিম্মি করে রেখেছে, যারা নিজেদের জন্য সূফি লকব সাব্যস্ত করে নিয়েছে।

ওই গ্রন্থেই তিনি হাদিসশাস্ত্রের একটা খুব বড় রহস্য উন্মোচিত করেন, তিনি সেখানে দেখান যে, ইমাম হাসান বসরি র. সরাসরি আলী রা. থেকে শিখেই হাদিস বর্ণনা করেছেন। অথচ এ বিষয়ে মুহাদ্দিসদের মধ্যে অমানিশাই বেশি ছিল। তাঁর আগে একই কাজ করেছেন ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল রহ. ও।

তাঁর আশআরি ঘরানা

ইমাম সুয়ূতি র. আশআরি, একথা তাঁর লেখাতেই রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ মাসালিকুল হুনাফা ফি ওয়ালিদাইয়্যিল মুস্তাফা ﷺ গ্রন্থ তাঁর অনন্যসাধারণ অবদান। এই গ্রন্থে তিনি মহামহিম রাসূল কারিম ﷺ’র সম্মানিত পিতামাতার ঈমানের পরিপূর্ণতার দলিল আনয়ন করেন, অথচ তিনি নিজেই এক সময় নবী ﷺ’র পিতামাতার ঈমানের বিরুদ্ধে গবেষণাকর্ম করেছিলেন।

সে গ্রন্থে তিনি লেখেন

নবীজি ﷺর মাতাপিতা তিনি নবী হিসাবে প্রকাশিত হবার আগেই ইন্তেকাল করেন। তাঁদের জন্য কোন শাস্তি নেই। সূরাতুল ইসরার পনেরো আয়াতে আল্লাহ বলেন, রাসূল না পাঠিয়ে আমি কাউকে শাস্তি দিই না (তারা রাসূলকে অস্বীকার করার আগতক)।

مَّنِ ٱهْتَدَىٰ فَإِنَّمَا يَهْتَدِى لِنَفْسِهِۦ ۖ وَمَن ضَلَّ فَإِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيْهَا ۚ وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ ۗ وَمَا كُنَّا مُعَذِّبِينَ حَتَّىٰ نَبْعَثَ رَسُولًا

আমাদের আশআরি ইমামগণ, যাঁদের মধ্যে আছেন ধর্মতাত্ত্বিকরা, ধর্মীয় আইনের উসুলের বিশেষজ্ঞরা এবং শরিয়াতের আইনশাস্ত্রবিদরা এ বিষয়ে একমত যে, যারা দা’ওয়াহ পাবার আগে মৃত্যুবরণ করে, মুক্তিপ্রাপ্ত মৃত্যুবরণ করে। এই প্রসঙ্গ খোদ ইমাম আশ শাফিঈ র. দ্বারা গবেষিত ও অনুমোদিত। কোন কোন আইনজ্ঞ কারণ হিসাবে বলেন, এমন মানুষ ফিতরাহ অনুসরণ করে। তারা না কোন রাসূলকে অস্বীকার করে, না তাঁদের ত্যাগ করে।

এছাড়া একই বিষয়ে তিনি আরো একটি বই লেখেন, কী কাব্যিক নাম, আত তা’যিম ওয়াল মিন্না ফি আন্না আবাওয়ায়ি রাসূলিল্লাহ ﷺ ফিল জান্নাহ (সরলার্থ, আমার পক্ষ থেকে তাযিজমস্বরূপ রাসূলিল্লাহ ﷺ’র পিতামাতার জান্নাতি হবার পক্ষে কিতাব)। অর্থাৎ, পুরো বিষয়টাকে তিনি ঈমানি, নবভী তাযিমের বিষয় হিসাবে দেখছেন।

ঘুমে ও জাগরণে মহানবীﷺ’র যিয়ারত

তাঁর সমকালীন বিখ্যাত গবেষক-দার্শনিক ইমাম আশ শারানি আশ শাফিয়ি আল আশআরি আস সূফি, চতুর্দশ শতকের মুজাদ্দিদ খ্যাত জাস্টিস, কবি ও মহান নবীপ্রেমিক ইমাম ইউসূফ আন নাবহানি আশ শাফিয়ি আস সূফি, ইমাম সুয়ূতি র. স্বয়ং আলাদা আলাদা ক্ষেত্রে বলেছেন যে, ইমাম সুয়ূতি (র.) রাসূল কারিম ﷺ কে সত্তর বারের বেশি দেখেছেন।

ফাইদুল বুখারি শরাহ সহিহুল বুখারিতে আনওয়ার শাহ কাশ্মীরি বলেন, ইমাম সুয়ূতি জাগ্রত এবং ঘুমন্ত অবস্থায় সত্তর বারের অধিক প্রিয়নবীজি ﷺর দেখা পেয়েছেন। তিনি সরাসরি নবী ﷺ কে হাদিসের ব্যাপারে জিগ্যেস করেছেন। সেসব হাদিসের প্রকৃতরূপ শিখেছেন। আন নাবহানিও একই কথা লেখেন।

ফিহরাল ফাহারিস ওয়াল আসবাত গ্রন্থের ইমাম কাসতালানি এবং সুয়ূতি বিষয়ক অধ্যায়ে ইমাম আবদুল হাই কাত্তানি আল হাসানি র. বলেন, কায়রো নগরে জনশ্রুতি ছিল যে, মাওয়াহিবের লেখক ইমাম কাসতালানি ইমাম সুয়ূতির লেখা থেকে নিয়েছেন কিন্তু তাঁর নাম উল্লেখ করেননি। ইমাম সুয়ূতি শাইখুল ইসলাম যাকারিয়া আনসারির কাছে বিষয়টা পাঠান। শাইখুল ইসলাম বলেন, নিজের লেখা দাবি করা উচিত।

ইমাম সুয়ূতি তখন বই লেখেন, আল ফারিক বাইনাল মুসান্নিফ ওয়াস সারিক। নকলকারী ও লেখকের মধ্যে তফাত। ইমাম কাসতালানি তাঁর কাছে আসেন, সুন্নাহ অনুসরণে প্রবেশের অনুমতি চেয়ে বলেন,

-আমি আপনার কাছে খালিপায়ে অনাবৃত মাথায় এসেছি আপনার সাথে আমার নাম জড়ানোর বিষয়টা স্পষ্ট করার জন্য।

-আমি ইতোমধ্যেই বুঝতে পেরেছি যে, আপনার কোন দোষ নেই।
-কিন্তু তিনি দরজা খুললেন না। কারণ, তখন নবীজি ﷺ ﷺ তাঁর সাথে বসে আছেন। আস সুয়ূতি নবীজি ﷺর কাছ থেকে শুনে হাদিসের স্পষ্টায়ন লিখছেন। ইমাম কাসতালানির জন্য দরজা না খোলার এটাই কারণ। তখন তিনি রূহানি সংযোগায়নে ছিলেন।

তাঁর অসংখ্য গ্রন্থের মধ্যে আছে

তাঁর অসংখ্য গ্রন্থ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু –

তাফসির জালালাইন।
তারিখুল খুলাফা।
খাসাইসুল কুবরা।
খাসাইসুস সুগরা।
জামিআল কাবির।
জামিআস সাগির।
আল ইতকান ফি উলুমিল কুরআন।
আসবাব উরুদুল হাদিস।
আসরার তারতিবুল কুরআন।
আইনাল ইসাবা ফি ইসতিদরাক আয়িশা আলাস সাহাবা।
ইহইয়া আল আবওয়াবাইন আশ শারিফাইন।
আর রিয়াদুল আনিকা।
তাদরিব আর রাওয়ি।
তাওয়িদুল হাকিকাহ ইত্যাদি।

লেখক- গোলাম দস্তগীর লিসানী

Related Articles

Back to top button
close