হযরত আবু ইয়াজিদ আল বায়েজিদ বোস্তামী (র.)’র সংক্ষিপ্ত জীবনী
তাহের হোসাইন

জন্ম
হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (র.) ৮০৪ সালে পারস্যের বোস্তাম শহরে শুভাগমন করেন। তিনি হিজরি দ্বিতীয় শতাব্দির একজন বিখ্যাত সূফি সাধক এবং আজও মায়ের প্রতি পরম ভক্তির দৃষ্টান্ত রূপে পুরো পৃথিবী জুড়ে বায়েজিদ বোস্তামী নামটি সুপ্রসিদ্ধ। তিনি হযরত সৈয়্যদুনা ইমাম জাফর সাদিক (রা.)’র মুরিদ ছিলেন এবং আরিফ বান্দাগণের সুলতান হিসেবে খ্যাত। নিম্মে এই মহান সাধকের সংক্ষীপ্ত পরিচিতি ও চট্টগ্রামের তাঁর আস্তানা শরীফ, গজার মাছ সম্পর্কেও আলোকপাত করা হলো।
শিক্ষা জীবন
বায়েজিদ বোস্তামির পিতা-মাতা ছোটবেলা থেকেই তাঁর বিদ্যাশিক্ষার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। শিক্ষা অর্জনের জন্য বোস্তামির পিতা-মাতা তাঁর জন্য বাসায় কয়েকজন শিক্ষক নিয়োগ করেন। তার পিতাও তাঁকে শিক্ষাদান করতে থাকেন। পরবর্তীতে বাহিরে গিয়ে শিক্ষা অর্জন করতে থাকেন কিন্তু কিছু সময়ের মধ্যেই তাঁর পিতা ইন্তেকাল করলেও শিক্ষাজীবন ব্যাহত হয়নি কারণ বায়েজিদের মাতা ছিলেন অত্যন্ত বুদ্ধিমতী মহিলা। স্বামীর অকাল মৃত্যুতে তিনি বিচলিত হননি। একদিন তিনি বাড়ি গিয়ে তার মাকে বললেন, আল্লাহর খেদমতে আমায় ছেড়ে দিতে হবে। আমি সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর গোলাম হব। মা বললেন, আমি তোমাকে আল্লাহর খেদমতে ছেড়ে দিলাম। তারপর তিনি মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যান ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করার জন্য। উচ্চ মাকাম অর্জনের জন্য ১১৩ জন বিশিষ্ট শিক্ষকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা লাভ করেন। তাঁর বিশিষ্ট উস্তাদদের মধ্যে হযরত ইমাম জাফর সাদিক ও হযরত শফিক বলখি (রহ.) ছিলেন অন্যতম।
মায়ের প্রতি বায়েজিদের ভক্তি
উল্লেখ আছে যে একদা বায়জীদ বোস্তমির মা অসুস্থ ছিলেন। এক রাতে মা বায়জীদ বোস্তমিকে পানি পান করবার জন্য পানি আনতে বলেন। বায়জীদ ঘরে পানি না পেয়ে অন্ধকার রাতে নদী থেকে পানি নিয়ে আসেন। এসে দেখলেন মা ঘুমিয়ে আছেন। তিনি ভাবলেন মাকে জাগালে মায়ের ঘুম ভেঙ্গে যাবে, তাই তিনি পানি হাতে দাঁড়িয়ে থাকলেন। সকালে মায়ের ঘুম ভাঙার পর দেখলেন তার ছেলে পানি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি অবাক হলেন, খুশি হলেন। মা প্রান ভরে ছেলের জন্য দুয়া করেন। আল্লাহ মায়ের দুয়া কবুল করলেন। তিনি হয়ে গেলেন, বিখ্যাত ওলি বোস্তামী আর মায়ের প্রতি পরম ভক্তি দেখিয়ে সৃষ্টি করেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
চট্টগ্রামে বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার
সুলতানুল আরেফিন হযরত আবু ইয়াজিদ আল-বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.)’র প্রকৃত মাজার শরীফ ইরানের বোস্তাম শহরে হলেও চট্টগ্রামের বায়েজিদে অবস্থিত তাঁর আস্তানা শরীফটি মাজার হিসেবেই অধিক প্রসিদ্ধ। ১৮৩১ সালে পাহাড়ের উপরিভাগে একটি দেয়ালঘেরা আঙিনার মাঝে মাজারটি আবিষ্কার করা হয়। বুজুর্গানে কেরাম, কবিতা চরণে, লোকগাঁথার ভাষ্যমতে তিনি তৎকালীন আরবের অন্যান্য বুজুর্গদের ন্যায় জাহাজে করে চট্টগ্রাম আগমন করে বর্তমান আস্তানার ঐ স্থানে পাহাড়ের উপর রিয়াজত করেন। এই আস্তানা শরীফটি বর্তমানে মাজার হিসেবে সুপ্রসিদ্ধ এবং মাজার সংলগ্ন পুকুরে গজার মাছ এর নমুনা হিসেবে এদের সংশ্লিষ্ট তাঁর অনেক কারামত এর সত্যতা বহন করে।
আরেফদের সুলতান হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (রহ.)’র শান-মান ও চট্টগ্রামের তার আস্তানা শরীফ এবং মাজার পুকুরে সেই বিশেষ গজার মাছগুলো সম্পর্কে “দিওয়ান ই আযীয” কিতাবে ঈমামে আহলে সুন্নাত আল্লামা গাজী সৈয়্যদ মুহাম্মদ আজিজুল হক শেরে বাংলা আল কাদেরী (রহ.) বলেন,
“ওই সুলতানে বোস্তামীকে হাজারো স্বাগতম। দুনিয়ার মোহত্যাগী এ মহান অলি বিশ্ববিখ্যাত হয়েছেন। তাঁকে স্বাগতম।
তিনি বোস্তামবাসীদের সুলতান ছিলেন। তিনি হলেন অলিগণের সুলতান। এখন এতে কারো দ্বিমত নেই।
যদিও তাঁর মাজার শরীফ বোস্তাম শহরে,
কিন্তু তার বিশ্রামস্থল এখনো চট্টগ্রামে রয়েছে।
হে যুবক! অলৌকিক ঘটনাকে কারামত বলে মনেপ্রাণে জেনে রেখো, যার প্রকাশস্থল প্রতিটি যুগে নিঃসন্দেহে অলিগণই হয়েছেন।
তিনি বোস্তাম থেকে চট্টগ্রামে তাশরীফ এনেছেন। তাঁকে স্বাগতম। নাসিরাবাদের জঙ্গলকে তিনি আলোকিত করে দিয়েছেন। তাঁকে মারহাবা।
তাঁর কৃপাদৃষ্টি এখন ওই নাসিরাবাদের পাহাড়ী এলাকা জান্নাতের নিশান হয়ে গেছে। আমি তাঁর কী প্রশংসা করবো!
তাঁর সর্বক্ষণের ওযীফা ছিলো এ কথা বলা,
“আমার মর্যাদা কতোই উঁচু”।
হে খোদা! তাকে পরকালে সর্বদা সানন্দে রাখুন।
হে আমার মাবুদ! উভয় জাহানে আমাদের চাহিদা পূর্ণ করুন হুজুর মোস্তফার প্রিয়ভাজন হযরত শাহে বোস্তামের ওসীলায়।
এখনো তার পুকুরে ‘গযালী’ দেখতে পাবে। জেনে রেখো! এরা ছিল জ্বীন জাতি, তারই মুরিদ। তাদেরকে তিনি আকৃতি পরিবর্তিত করে রেখেছিলেন।
সুতরাং একথা বলো না যে, শাহে বোস্তাম এ মাজারে নেই। এ নিদর্শন এ মর্মে যথেষ্ট যে, তিনি এ #মাজারে আছেন।
যদি তাদের মধ্যে কেউ কারো উপর কোন যুলুম করে, তবে জেনে রেখো, হে যুবক! মাত্র একচল্লিশ দিনের মধ্যেই তার সমাধান হয়ে যায়।
অতঃপর যালিম যত পরিশ্রম করে উপরে চলে যায়, সে শেষ পর্যন্ত হযরত খাজা বোস্তামীর দরবারে পৌঁছে করজোড়ে ক্ষমাপ্রার্থী হয়।
যদি ওইগুলোর মধ্যে কোন একটি মারা যায়, তবে তাকে মানুষের মতোই কাফন-দাফন দেওয়া হয়। এমনকি জানাজাও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
বেশিরভাগ চট্টগ্রামবাসীও এ বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে জানে না। এ কারণে তারা এ রহস্যসমৃদ্ধ বস্তুুরপ্রতি অনীহা প্রকাশ করে থাকে।
ওহে যুবক! আমার নিকট শোন! তাঁর কারামতগুলোর মধ্যে এটাও রয়েছে যে, তিনি নিজে খিরক্বাহ (বিশেষ পোশাক), পাগড়ী এবং লাঠি শরীফ দান করেছেন-
তাঁর ওফাত শরীফের দু’শ ষাট বছর পর কবর শরীফ থেকে বের হয়ে ওই হযরত আবুল হাসান খারক্বানী রহমাতুল্লাহী তায়ালা আলাইহিকে।
তুমি যদি এর রচয়িতার নাম জানতে চাও, তবে জানো, তিনি হলেন, শেরে বাংলা। নিঃসন্দেহে তিনি অলিগণের অস্বীকারকারীদের জন্য ‘শাণিত তরবারি’।”
[দিওয়ানে_আযীয বাংলা অনুবাদ কৃত আল্লামা এম. এ মান্নান, পৃঃ ৫২.]
চট্টগ্রামের বোস্তামীত গজর মাছ/কাছিম
উপরে উল্লেখিত দিওয়ানে আযীযের বর্ণনাতে পাওয়া যায় এই মাছগুলো ছিল হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (র.)’র মুরিদ। এদের সম্পর্কে লোকমুখে বর্ণিত আছে যে, তারা উলঙ্গ অবস্থায় পুকুরে গোসল করতে নামলে হযরত তাদেরকে কাছিমের আকৃতিতে গজার/গজালী, মজার/মজালী মাছ বানিয়ে দেন। তবে আশ্চর্যের বিষয় এই যে, এই গজার মাছ/কাছিম আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অত্যন্ত বিরল এবং বিপন্নপ্রায় প্রজাতি। বর্তমানে বায়েজিদ বোস্তামির মাজার ছাড়া তাদের বিশ্বের আর কোথাও দেখা যায় না। তাই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য খুব আকর্ষণীয় এ মজালী মাছ। বিশালাকার কাছিম সদৃশ গজার/মজার মাছ দেখলে বিস্ময়ে হতবাক হতে হয়। এগুলোর অনেকেই বয়স প্রায় ২০০-২৫০ বছর। মাজারের বড় বড় এ মাছগুলোকে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা খাবার দেন। ১৯৩১ সালে প্রাণিবিজ্ঞানী ম্যালকম স্মিথ তার ফনা অব ব্রিটিশ ইন্ডিয়া গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ভারতবর্ষে ‘নিলসোনিয়া নিগরিকেন টার্টেল’ বা বোস্তামি কাছিম একমাত্র বায়েজিদ বোস্তামির মাজারেই পাওয়া যায়। অনেকে মনে করেন, হজরত সুলতান বায়েজিদ বোস্তামি (রহ.) ইরান থেকে চট্টগ্রামে আসার সময় এ কাছিমগুলো নিয়ে আসেন। প্রাণিবিজ্ঞানীদেরও ধারণা ছিল বোস্তামি কাছিম উপমহাদেশ অঞ্চলের প্রাণী নয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, বোস্তামি কাছিম বাংলাদেশ অঞ্চলের নিজস্ব প্রাণী।
হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রহমাতুল্লাহি আলায়হি, হযরত সুলতান বায়েজীদ বোস্তামী রহমাতুল্লাহি সম্পর্কে বলেন, একদিন খাজা বায়েজীদ আল্লাহর সান্নিধ্যের নিকটবর্তী হলে গায়েবি আওয়াজ এলো, হে বায়েজীদ! আজ রহমতের বর্ষণের দিন, তোমার যা চাইতে হয় এখন চেয়ে নাও।’ প্রত্যুত্তরে তিনি বললেন, হে আমার প্রভু! আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। আমি চাই না দুনিয়ার পার্থিব সুখ-শান্তি, এমনকি বেহেশতী সুখও আমি চাই না। আমি একমাত্র দিদারে এলাহী কামনা করে তাঁর সান্নিধ্যে থাকতে চাই। আসলে পবিত্র আত্মাই ভালো জ্ঞাত আছেন আমার একমাত্র বাসনা কি? সাথে সাথে জবাব এলো, ‘হে বায়েজীদ! তোমার কামনা-বাসনা যা- তা তুমি পরিপূর্ণভাবে পাবে। তাতেই তোমার পরিতপ্তি।’ৃ এ আনন্দ সংবাদ শোনার সাথে সাথে বায়েজীদ বোস্তামী রহমাতুল্লাহি আলায়হি আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিজেকে লুটিয়ে দিয়ে পুরোপুরিভাবে আত্মসমর্পণ করলেন।
হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেন, ‘বায়েজীদ বোস্তামী মারেফাতের উচ্চমার্গে পৌঁছে নিজেই বলছিলেন, ত্রিশ বছর আগে আমি আল্লাহর অস্তিত্বে বিরাজমান ছিলাম। এখন আমি দর্পণে দেখি যে, আমি আগে যা ছিলাম তা নেই। আমার ভিতরকার দ্বৈত-সত্ত্বা বিলুপ্ত হয়েছে। ‘আমি’ আর তাঁর মধ্যে কোনো তফাৎ দেখছি না। আল্লাহর জাত-সত্তায় আমি বিলীন হয়ে গেছি। প্রভু, আমার জবান দিয়ে কথা বলেন। আমার স্বকীয়-সত্তা বলতে কিছু নেই। বায়েজীদ বোস্তামী রহমাতুল্লাহি আলায়হি আরো বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দুঃখ-কষ্ট, বেদনা-বিধুর অবস্থার মধ্যে কালাতিপাত করে বের হয়ে আসার পর দেখলাম অধিকাংশ লোক পার্থিব জগতের লোভ-লালসা, জীবনযাপনে মত্ত। খানাপিনা, হাসি-তামাশা, নাচ-গান, হই-হুল্লোড় করে তাদের জীবন চালিয়ে যাচ্ছে অত্যন্ত ফুর্তির মধ্যে। হাতেগোনা কিছু লোক ধর্মীয় কর্তব্য সমাধান করছে। নগণ্যসংখ্যক সূফী-সাধক একান্ত বিনয়ের সাথে আল্লাহর কর্তব্য কাজ সমাধান করছেন এবং আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন আল্লাহর ধ্যানে নিমগ্ন থাকতে। হযরত বায়েজীদ বোস্তামী রহমাতুল্লাহি আলায়হিকে জিজ্ঞাসা করা হলো তিনি আধ্যাত্মিক জগতের কোন স্তরে পৌঁছেছেন? প্রত্যুত্তরে তিনি বললেন, ‘দু’আঙ্গুলের ফাঁক বরাবর আল্লাহর সমগ্র মাখলুকাত দৃষ্টিগোচর হচ্ছে।’ তিনি আল্লাহর প্রেমে এতোই মত্ত ছিলেন তাঁর সমস্ত সৃষ্টির মাঝে আল্লাহর অস্তিত্ব অনুভব করতেন- গাছপালা, ফলমূল, বৃক্ষ-লতা, পাহাড়-পর্বত, নদ-নদী সব কিছুতেই তিনি আল্লাহর প্রেমের পরশ পেতেন।
হযরত বোস্তামীর উপদেশ
১. একবার তার কাছে প্রশ্ন করা হলো, মানুষ আত্মশুদ্ধির চূড়ান্ত অবস্থায় কখন পৌঁছাতে পারে? তিনি জবাব দিলেন, যখন মানুষ সৃষ্টিজগত থেকে পৃথক হয়ে নির্জনে নিজের দোষত্রুটির কথা চিন্তা-ভাবনা করে তা থেকে নিজেকে শুধরে নেয়। তিনি আরও বলেন, এর দ্বারা আল্লাহর নৈকট্যও হাসিল হয়।
২. বায়েজিদ বোস্তামিকে লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হুজুর! নামাজের খাঁটি ও আসল পরিচয় কি? তিনি জাবাব দিলেন, যার দ্বারা দীদারে ইলাহী হতে পারে, সেটাই প্রকৃত নামাজ। তবে তা খুব কঠিন কাজ, কিন্তু মানুষের সাধ্যাতীত নয়।
৩. বায়েজদি বোস্তামী (রহ.) বলতেন, আমি দুনিয়া পরিত্যাগ করে সম্পূর্ণ একাকী অবস্থায় বলতে লাগলাম, হে মাবুদ! তুমি ছাড়া আমার আর কেউ নেই। তবে তুমি যখন আমার আছ, আমার সব কিছুই আছে। আল্লাহতায়ালার মেহেরবানীর ফলে আমার মানসিক অবস্থা ও অনুভূতির পরিবর্তন ঘটল। অনুভব করলাম, যারা আল্লাহর আদেশ পালন করেছে, তারা পুরস্কার লাভ করেছে ও পুরস্কারের প্রতি আসক্ত হয়েছে, কিন্তু আমি প্রভু আল্লাহতায়ালা ছাড়া অন্য কিছুতেই আসক্ত হইনি।
৪. আমি ভেবে দেখলাম যে, আমার শাস্তি পাওয়ার মূল হেতু কোন বস্তু? দেখা গেল গাফলতি (আলস্য) ছাড়া আর কিছু নয়। পরে তিনি বললেন, মানুষের সামান্য গাফলতি দোজখের আগুনের কারণ হবে। অতএব সাবধান হও।
৫. বায়েজিদ বোস্তামী বেশি বেশি আল্লাহর জিকিরে মগ্ন থাকতেন। তার পরও বলতেন, ওহে মাবুদ! সারা জীবন আমি আপনার নাম স্মরণ করেছি একান্ত উদাসীনভাবে। আমি এক চরম অকৃতজ্ঞ। জানিনা, আপনার সাথে আমি সাক্ষাতের যোগ্য বলে বিবেচিত হবো কি না। তিনি মানুষকে বেশি বেশি জিকিরের প্রতি তাগাদা দিতেন।
ওফাত
বিখ্যাত এই মহান সাধাক ১৪ রমজান/ ১৫ শাওয়াল ২৩১/২৬১ হিজরি ৮৭৪ সনে ইন্তেকাল করেন। তাঁর পবিত্র মাজার শরীফ তৎকালীন পারস্যদেশ বর্তমান ইরানের শাহরুদের কাছে বোস্তামে অবস্থিত।
তথ্য সূত্রঃ
দিওয়ানে আজীজ
ইউকিপিডিয়া উর্দূ
বাংলাপিডিয়া