অনন্যা হয়েও অনাড়ম্বর যে সত্তা: সাইয়েদা ফাতেমা আয-যাহরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা

নুছফা খানম তাওবা

শ্বেত-মুক্তা, নবি-তনয়া, সাইয়েদা ফাতেমা আয-যাহরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নবুয়ত প্রকাশের আগে। কন্যাদের মধ্যে সাইয়েদা ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা ছিলেন প্রিয় নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সবচেয়ে প্রেমের। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অত্যাধিক ভালোবাসতেন এবং তাকে সম্মান করতেন। সাইয়েদা ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা ছিলেন ধৈর্যশীল, ইসলামের প্রতি নিবেদিত প্রাণ, উদার, সতী, ধর্মপ্রাণ এবং আল্লার প্রতি সর্বদা কৃতজ্ঞ। সাইয়েদা-এ কায়েনাত ফাতেমা আয-যাহরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা’র ফযিলত এবং গুণাবলী নিয়ে লেখা এই তুচ্ছের পক্ষে সম্ভব না। কিন্তু তাই বলে কি কিছু শুকর গুজারিও করব না! মুহুব্বিনদের খাতায় আমাদের নামগুলো তোলার সামান্য চেষ্টাও কি করব না! এই চেষ্টার খাতিরেই অল্প জ্ঞানের আলোকে ক্ষুদ্র পরিসরে এই মহীয়সী সত্তার কিছু ফযিলত তুলে ধরলাম।

পিতার জন্য জাঁ-ফিদাঃ

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাবা শরীফে নামায আদায় করছিলেন এবং আবু জাহল ও তাঁর সঙ্গীরা সেখানেই একপাশে বসে ছিলেন। তারা একে অপরকে বলল, “কে সেই ব্যক্তি যে, অমুক উটের ভুঁড়ি নিয়ে আসবে এবং মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলালাইহি ওয়াসাল্লাম) সিজদা করার সময় পিঠে চাপিয়ে দিবে?”

তখন তাদের মধ্যে সবচেয়ে হতভাগ্য লোকটি গিয়ে তা নিয়ে এল এবং অপেক্ষা করতে লাগল, যতক্ষণ না রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদা করলেন; যখনই রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদায় গেলেন, সেই ব্যক্তটি উটের ভুঁড়িটি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দুই কাঁধের মাঝে পিঠের ওপর চাপিয়ে দিলো। আমি তখন কেবল দাঁড়িয়ে দেখছিলাম, কোনো প্রকার সাহায্য করতে পারলাম না। তারা উচ্চস্বরে হাসতে লাগল এবং একে অপরের দিকে ঝুঁকতে লাগল (তাদের হাসির কারণে)। রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিজদাতেই ছিলেন, ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা মোবারক তোলেন নি, যতক্ষণ না ফাতেমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এসে তা সড়িয়ে দিয়েছিল।
এরপর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাথা তুললেন এবং চিৎকার করে বললেন, “হে আল্লাহ, তুমিই এই কুরাইশদের সাথে মোকাবেলা কর!” এভাবে তিনবার বললেন। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এই কথা শুনে তারা ভীত হয়ে পড়ল; কারণ তারা বিশ্বাস করত যে এই ভুমিতে যাই দুআ করা হয়, তা কবুল হয়..” (সহীহ বুখারি, ২৩৩; মুসলিম, ৩৩৪৯)

সাইয়েদা ফাতেমা আয-যাহরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা’র ফযিলতগুলোর মধ্যে বুখারি-মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “ফাতেমা আমার অংশ, এবং যে তাকে কষ্ট দিলো, সে আমাকে কষ্ট দিলো।”( বুখারিঃ৩৪৩৭; মুসলিম হাদীস নং-৪৪৮৩)

সাদৃশ্যতায় অনন্যঃ

খাতুনে জান্নাত সাইয়েদা ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার কথা-বার্তা নিবিড়ভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল রাসুলুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে। হাদিসে পাকে এসেছে যে, উম্মুল মু’মিনিন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, “রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা-বার্তার সাথে ফাতেমার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) ছাড়া কখনোই অন্যকারো কথা-বার্তা এতটা সাদৃশ্যপূর্ণ দেখিনি। আর যখন ফাতেমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) তাঁর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিকট প্রবেশ করত, তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অভিবাদন জানাতে উঠে দাঁড়াতেন এবং তাকে চুম্বন করতেন, সাথে সাথে ফাতেমাও (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) অনুরূপ করত।” (বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, পৃ.৩২৬-৩২৭, হাদীস নং : ৯৪৭ও ৯৭১)

জানতেন কেবল তিনিইঃ

মাসরুক ইবনে আল-আজদা থেকে বর্ণিত, উম্মুল মু’মিনিন আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু তাআ’লা আনহা বলেন, “একদিন ফাতেমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) আমাদের নিকট এসেছিল, তার চলার ভঙ্গিমা ছিল অবিকল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের-এর মতো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় কলিজার টুকরাকে স্বাগত জানিয়ে নিজের ডান বা বাম পাশে বসালেন; তারপর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একান্তে চুপিসারে তাকে কিছু বললেন। এই কথা শুনে ফাতেমা (রাদ্বিয়াল্লাহ আনহা) কাঁদতে লাগল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “তুমি কাঁদছ কেন?”
সাথে সাথে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতেমাকে(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) আবার একান্তে কিছু বললেন; এইবার ফাতেমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) হেঁসে দিলেন।
এরপর আমি অবাক হয়ে বললাম, “আমি আনন্দক বিষণ্ণতার এত কাছাকাছি কখনোই দেখিনি।” আমি তাকে পুনরায় জিজ্ঞাসা করলাম, “হুজুরে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি কি বলেছেন?” ফাতেমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) উত্তরে বলল, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রহস্যকে উন্মুক্ত করতে পারব না।

অনেক অসময় চলে গেল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওফাতের পর আমি পুনরায় ফাতেমাকে (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) জিজ্ঞাসা করলে উত্তরে বলল, “রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে চুপিসারে বলেছিলেন যে, জিবরাইল (আলাইহিস সালাম) প্রতি বছর একবার আমার উপর কুরআন মাজিদের পুনরাবৃত্তি করে থাকেন, কিন্তু এই বছর দুইবার করেছেন। এতে আমার বিশ্বাস যে, আমার বিদায়ের সময় ঘনিয়ে এসেছে।” একথা আমাকে কাঁদিয়েছে। এরপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, “তুমি কি এই কথায় সন্তুষ্ট নও যে, আমার পরিবারবর্গের মধ্যে তুমিই সর্বপ্রথম আমার সাথে মিলিত হবে এবং তুমিই সকল জান্নাতি রমণীদের প্রধান বা সকল মুসলিম রমণীদের সরদার হবে!” এ কথা শুনে আমি হেঁসে ছিলাম। (সহিহ বুখারি, আল-মানাকিব, ৩৩৫৩)

জানতেন নিজের ব্যাপারেওঃ

হযরত উম্মে সালমা রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “খাতুনে জান্নাত সাইয়েদা ফাতেমা সালামুল্লাহি আলাইহা-এর অন্তিম শয্যায় আমি তাঁর সেবা করতাম। অসুস্থতার এই পুরো সময়ে আমার দেখামতে একদিন সকালে তার অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তখন শেরে খোদা হযরত আলী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু কোনো কাজে বাইরে গিয়েছিলেন; ওই সময়, আম্মাজান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বললেন, “হে আম্মা! আমার গোসলের জন্য পানির ব্যবস্হা করো।” আমি পানির ব্যবস্হা করলাম। আমার দেখামতে তিনি খুবই ভালোমতে গোসল সেরেছিলেন। অতঃপর বললেন, “হে আম্মা! আমাকে নতুন পোশাক দাও।” আমি দিলাম। তিনি পরিধান করলেন। এরপর তিনি বললেন যে, তাঁর বিছানাটি রুমের ঠিক মাঝখানে করার জন্য। আমি তা করার পর তিনি কিবলামুখী হয়ে শুয়ে গেলেন। মুখের ওপর হাত রেখে বললেন, “হে আম্মা! আমার এখন ওফাত হবে। আমি পবিত্রতা অর্জন করেছি। সুতরাং, কেউ যেন আমাকে বস্ত্রহীন না করে।” কিছুক্ষণপর এই স্থানেই তাঁর ওফাত হলো। এরপর যখন হযরত আলী রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু আগমন করলেন, তখন আমি তাঁকে হযরত ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার ওফাতের সংবাদ দিই।” (আহমদ ইবনে হাম্বল, আল মুসনাদ, ৬ঃ ৪৬১-৪৬২, আহমদ ইবনে হাম্বল, ফাযায়িলুস সাহাবা, ২ঃ ৬২৯ ও ৭২৫, হাদিসঃ ১০৭৪ ও ১২৪৩)

খাতুনে জান্নাত সাইয়েদা ফাতেমা আয-যাহরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হুজুরে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাতের ৬ মাস পর হিজরতের একাদশবর্শষে রমযান মাসে ওফাত লাভ করেন। আবার কেউ বলেন, ৩মাস; আর কেউ কেউ বলেন, ২মাস পর। সাইয়েদা ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা -কে পিতার(হুজুরে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর) ওফাতের পর কখনো হাসতে কেউ তাঁকে দেখেননি । কেবল যখন তিনি প্রাণ ত্যাগ করবেন সেই মুহুর্তে ব্যতিত।
(ফাযায়িলুস সাহাবা)

মুসলিমদের প্রথম কফিনঃ

হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “সাইয়েদা ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা খুবই অসুস্থ ছিলেন। ওই সময় তিনি আসমা বিনতে উমাইসকে বললেন, “তুমি কি আমার অবস্থা দেখতে পাচ্ছ না। আমাকেতো খাটে উঠানো হয়েছে।” আসমা বললেন, “হ্যাঁ, অবশ্য। তবে আমি আপনার জন্য হাবশায় যেরকম দেখেছি, সেরকমই একটি খাটিয়া/কফিন তৈরি করবো। সাইয়েদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা তখন বললেন, “তাহলে আমাকে দেখাও।” সাথে সাথে আসমা খেজুরের কিছু কাঁচা ডাল আনাতে লোক পাঠালেন। ডাল-পালা আনা হলে তিনি সেগুলোকে কান্ড থেকে কেটে খাটের ওপর একটি কফিন বানালেন। আর এটিই ছিল মুসলমানদের মাঝে প্রচলিত প্রথম কফিন। তা দেখে সাইয়েদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা মৃদু হাসলেন। তাঁর পিতার (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ওফাতের পর আমি তাকে ওইদিন ছাড়া আর হাঁসতে দেখিনি। অতঃপর তিনি ইন্তেকাল করলে আমরা তাঁকে এই খাটে রেখেই কাঁধে উঠালাম এবং রাতেই দাফন করলাম।” মুস্তাদরকে হাকেম (৪৭৬৩)

বিদায় যা বে-নজীরঃ

এ ব্যাপারে সকল ঐতিহাসিকগণ একমত যে, সাইয়েদা ফাতেমা আয-যাহরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা-এর দাফন রাতের বেলায় হয়েছিল। পর্দা লঙ্ঘনের আশংকার জানাযা এতটাই চুপিসারে হয়েছিল যে, বনু হাশেম ছাড়া খুব কম সংখ্যক সাহাবীগণই এ জানাযায় শরীক হতে পেরেছিলেন। জানাযার পরে, শেরে খোদা মাওলা আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজাহহাহু, হযরত আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু, হযরত ফজল ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মিলে সাইয়েদা-এ কায়েনাত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা’র দাফনের কাজ শেষ করেন। জান্নাতুল বাকিতে তাঁকে দাফন করা হয়েছিল। (নুজহাত আল-ফুদালা তাহদীব সিয়ার আ’লাম আন-নুবালা, ১/১১৬)
আল-ওয়াকিদি বললেন, আব্দুলাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) তাঁর জন্য প্রার্থনা করলেন এবং তিনি বললেন, “আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও হযরত ফজল ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে তাঁর কবরে নামিয়ে দিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর পুত্রদ্বয়, জান্নাতের যুবকদের সর্দার সাইয়েদুনা হাসান এবং হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম এবং তার উভয় কন্যা সাইয়েদা উম্মে কুলসুম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা, যাঁকে উমর ইবনে খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বিবাহ করেছিলেন এবং সাইয়েদা জয়নাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা যাঁকে আব্দুল্লাহ ইবনে জা’ফার ইবনে আবি তালিব বিবাহ করেছিলেন।

আহ! জান্নাতের নারীদের সর্দারের বিদায়, অথচ সাবাইকে জানানো বারণ। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অংশ পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন, সাইয়েদুল মুরসালীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদরের কন্যা চলে গেলেন অথচ আয়োজন কতই না সীমিত! আমাদের বেঁচে থাকা যেমন লোক দেখানো, শেষ বিদায়ও লোক দেখানো দিয়ে শেষ হয়। জানাযায় কতো মানুষ হলো, তার ওপর ভিত্তি করেই নির্ধারণ করি জান্নাতি অথবা জাহান্নামী হওয়া। শেষ যাত্রার সার্থকতা আসলে কোথায়? এই সার্থতকতার রহস্য আমরা আসলেই জানি না। যিনি এইসব রহস্য খুব ভালো করেই জানতেন, তিনি অনন্য, অতুলনীয়, অসাধারণ হয়েও, সাধরণের চেয়েও সাধারণ ভাবে বিদায় নিয়েছেন পৃথিবী থেকে। আল্লাহ তাআলা তাঁর ওপর শান্তি বর্ষণ করুণ। তাঁর সিরাত হোক আমাদের জন্য পথ প্রদর্শক, এই পথের অনুসরণই হোক আমাদের পরপারের উসিলা।

Related Articles

Back to top button
close