সতী সাধ্বী স্ত্রীর গুণাবলি
সেনানী ডেস্ক

একজন স্ত্রী যদি নেককার, পরহেজগার ও আমানতদার হয় বিশেষত; সচ্চরিত্রবান হয়, তাহলে পুরাে পরিবার শান্তির নীড়ে পরিণত হয়। কোমলতা, নম্রতা, অনুগত, শান্ত-শিষ্ট ও হাসি মুখের অধিকারী হওয়া নারী জাতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এসব গুণাবলির মধ্যেই নারী সৃষ্টির রহস্য নিহিত।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন- পুরুষরা নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল। এজন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের মর্যাদা দান করেন। পুরুষের কর্তৃত্ব এজন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। আর নেককার স্ত্রীগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা সংরক্ষণ যােগ্য করে দিয়েছেন লােক চক্ষুর অন্তরালেও তা সংরক্ষণ করে। (সুরা নিসা)
হাদিস শরীফে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন- পার্থিব নেয়ামত সমূহের মধ্যে নেককার স্ত্রীর চেয়ে কিছুই নেই। (ইবনে মাজাহ শরীফ)
অন্য বর্ণনায় আছে – দুনিয়ার সর্বোত্তম নিয়ামত তথা উপকৃত বস্তু হল সতী সাধ্বী স্ত্রী। (নাসাঈ শরীফ)
আল্লাহর হকের পরে স্বামীর হকই স্ত্রীদের উপর অধিক গুরুত্বপূর্ণ। স্বামীর সন্তুষ্টিতেই স্ত্রীর কল্যাণ নিহিত। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, বনী আসহাল গােত্রের হযরত আসমা বিনতে ইয়াফিদ আনসারী (রা.) বর্ণনা করেন, তিনি নবী করিম এর দরবারে আগমন করেন। তখন রাসুল সাহাবীগণের মাঝে অবস্থান করছিলেন। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমার পিতা-মাতা আপনার উপর উৎসর্গ হােক, আমি সমগ্র নারী জাতির প্রতিনিধি হয়ে এসেছি। আমার জীবন আপনার জন্য উৎসর্গিত। প্রাচ্যে ও পাশ্চাতের সকল মহিলারা শুনবে যে, আমি আপনার কাছ থেকে বের হয়ে এসেছি অথবা শুনবে না।
নিশ্চয় আল্লাহ আপনাকে সত্য নবী হিসাবে প্রেরণ করেছেন। আমরা আপনার ও আপনার ইলাহর প্রতি ঈমান এনেছি। আমরা নারী সম্প্রদায় আবদ্ধ ও সীমাবদ্ধ, আপনাদের ঘরে অবস্থানকারী। আপনাদের চাহিদা পূরণকারিনী ও আপনাদের সম্তানের গর্ভধারিনী। আর আপনাদের পুরুষ দলকে জুমা, জামাত, রােগীর সেবা, জানাযায় উপস্থিত ও হজ্জের ক্ষেত্রে আমাদের উপর অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
আর সর্বোত্তম হজ্জ্ব হলাে আল্লাহর পথে জিহাদ করা। আপনাদের কেউ হজ্ব, ওমরা ও জিহাদে বের হলে আমরা আপনাদের সম্পদ সংরক্ষণ করি। আপনাদের কাপড় তৈরি করি ও আপনাদের সন্তানদের লালন-পালন করি।
আমরা কি এসব আমলের সাওয়াব ও উত্তম কাজে আপনাদের সাথে শরীক হবাে? নবী করিম সাহাবীদের প্রতি মুখ ফিরিয়ে বলেন, কোন নারী কি তার দ্বীন সম্পর্কে এ নারীর চেয়ে উত্তম প্রশ্ন করেছে? উত্তরে তাঁরা বললেন, আমরা ভাবিনি কোন নারী এরূপ হেদায়ত গ্রহণ করেন।
নবী করিম তাঁর প্রতি মুখ ফিরিয়ে বলেন, হে নারী! তুমি বুঝ এবং তােমার পশ্চাতে থাকা নারীদের জানিয়ে দাও, স্বামীর জন্য স্ত্রীর অনুরােক্তি, তার সন্তুষ্টি কামনা করা এবং তার সিদ্ধান্তের অনুসরণ করা ঐ সব নেক আমলের সাওয়াবের সমান। তারপর মহিলাটি খুশীতে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ও তাকবীর বলতে বলতে চলে গেল।