বিতর্কিত নাস্তিক লেখিকা তসলিমা নাসরিন বিরোধী আন্দোলনের রুপকার কাজী সোলাইমান চৌধুরী
ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি মজলুম জননেতা কাজী সোলাইমান চৌধুরীর চক্ষু শাহাদাত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে বক্তারা

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা,চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার উদ্যোগে আজ (০২ জুলাই) পটিয়া শহীদ হালিম-লিয়াকত স্মৃতি মিলনায়তনে ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি ও ইসলামী ফ্রন্টের বিভাগীয় সাংগঠনিক সচিব মজলুম জননেতা কাজী সোলাইমান চৌধুরীর চক্ষু শাহাদাত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল’২২ জেলা সভাপতি ছাত্রনেতা নূরের রহমান রণি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি ও ইসলামী ফ্রন্টের বিভাগীয় সাংগঠনিক সচিব মজলুম জননেতা কাজী সোলাইমান চৌধুরী, উদ্বোধক ছিলেন ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি জননেতা অধ্যাপক আবুল মনছুর দৌলতী। প্রধান বক্তা ছিলেন, ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রনেতা এম আলী আকবর।
আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মুহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার যুগ্ম সম্পাদক জননেতা আলী হোসাইন, অর্থ সম্পাদক জননেতা কাজী শাকের আহমদ, যুবসেনা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি যুবনেতা মাওলানা মামুন উদ্দীন সিদ্দিকী, সহ-সাধারণ সম্পাদক যুবনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি ছাত্রনেতা ওসমান শাহাদাত, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নূর উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তব্যে বক্তারা বলেন, বিতর্কিত লেখিকা,ইয়াহুদী খৃস্টানদের দালাল, নাস্তিকদের দোসর, বিকৃত ও খোলামেলা যৌনতার ধারক,নির্লজ্জ ও বেহায়াপনায় উন্মাদ,দেশ পলাতক, ভারতে নির্বাসিত তসলিমা নাসরিন বিরোধী আন্দোলনের রুপকার কাজী সোলায়মান চৌধুরী। যখন এই বিতর্কিত লেখিকা আল্লাহ, নবি রাসুল, ফেরেশতা, পরকাল, জান্নাত,জাহান্নাম সর্বোপরি ইসলামের বিরোদ্ধে, নাস্তিকদের পক্ষে এবং বিকৃত ও খোলামেলা যৌনতা নিয়ে নির্বিঘ্নে লেখালেখি করে পরিবার, সমাজ,দেশ ও বিদেশে বিশৃঙ্খলা ও মুসলিমদের ইমান ও ইসলামে আঘাত আনছিল। ঠিক তখনি এই বিতর্কিত কুখ্যাত লেখিকার বিরোদ্ধে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে।
লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ৩০ জুন,১৯৯৪ সালে সারাদেশে হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচী পালন করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা। তখনকার কেন্দ্রীয় সভাপতি মজলুম জননেতা কাজী সোলাইমান চৌধুরী হরতাল সফল করার জন্য এবং চলমান আন্দোলনকে আরো গতিশীল করার জন্য সুদূর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন।
৩০ জুন’১৯৯৪ সালে ছাত্রসেনার ডাকে হরতাল পালনকালে কেন্দ্রীয় সভাপতি মজলুম জননেতা কাজী সোলাইমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ঢাকার মুহাম্মদপুরে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলে নাস্তিক কুলাঙ্গাররা অতর্কিত আক্রমন করে।কর্মীদেরকে সাথে নিয়ে বীরের মতো তাদের মোকাবেলা করেছেন কাজী সোলাইমান চৌধুরী। তবু পিছু হটেননি। নাস্তিকদের আক্রমনে তাঁর মূল্যবান দুটি চক্ষু হারিয়েছেন।ছাত্রসেনার আন্দোলনের কারণে বিতর্কিত নাস্তিক লেখিকা দেশ পালাতে বাধ্য হয়েছে। বর্তমানে সে ভারতে নির্বাসিত।
এই আন্দোলনের রুপকার কাজী সোলাইমান চৌধুরী মূল্যবান দুটি চোখ হারিয়ে নিস্ক্রিয় হয়ে যাননি;বরং বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় পরিষদের সহ সাংগঠনিক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিকের দায়িত্ব অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পালন করছেন।আজ তাঁর চক্ষু শাহাদাৎ দিবস।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা গত দুই বছর যাবৎ এই দিবস অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করে আসছে। আজকের এই দিনে মজলুম এ নেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা নিবেদন করছি।হে প্রিয় মজলুম জননেতা আপনি আজ প্রত্যেক সেনা কর্মীর হৃদয়ে বাস করছেন। কিয়ামত পর্যন্ত ছাত্রসেনার প্রত্যেক কর্মীর হৃদয় মাজারে আপনি চির অমর হয়ে থাকবেন।