সিইসি’র সংলাপে নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট

গতকাল (২১ জুন) নির্বাচন কমিশন ভবনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব জননেতা আল্লামা এম এ মতিনের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দলসহ ৮টি নিবন্ধিত দলের সাথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে সংলাপে বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এসময় কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা শতভাগ নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব। আমার মনে হয় না সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কেউ ওই কাজটা (কারচুপি) করতে যাবে। অন্য কোনোভাবে সম্ভব কি-না জানি না, তবে আমরা যারা কমিশনের সদস্য আছি, সরকারও চাইবে না আমরা আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করি।
সিইসি আরও বলেন, ইভিএমে আপনাদের আস্থা আসছে না। তাই ব্যাপক পরামর্শ নেওয়ার আয়োজন করেছিলাম। আপনারা কিন্তু আপনাদের বক্তব্য দিচ্ছেন, আপনাদের বক্তব্যকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা জানি ইভিএম নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে। তাই আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি।
ইভিএমের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, এই মেশিনে আপনি কেবল নিজের ভোটটিই দিতে পারবেন। গোপন কক্ষে অন্য কেউ চাপ দিয়ে দেবেন সেটার জন্যও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি আগেও বলেছি, যে ইভিএম নিয়ে একটাই চ্যালেঞ্জ, যে সন্ত্রাসী অন্য কেউ চাপ দিয়ে দিল কি-না। এজন্যই আমরা সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছি। ভবিষ্যতে সবগুলোতে না হলেও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব।
তিনি বলেন, আস্থা একবার ভেঙে গেলে ফিরিয়ে আনতে সময় লাগে। সেই সময়টা আমরা নিচ্ছি। আমাদের কমিশন কোনো পক্ষপাত করবে না। আমরা যেন অবাধ ও সুষ্ঠু একটা নির্বাচন উপহার দিতে পারি সেই চেষ্টা থাকবে।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদী, তথ্য- প্রযুক্তি সচিব মুহাম্মদ আব্দুর রহিম ও সহ- আন্তর্জাতিক সচিব ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আমান উল্লাহ।
উল্লেখ্য ইসির হাতে বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে, যা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ আসনে ভোট নেওয়া যাবে। ৩০০ আসনে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার করতে হলে আরও তিন লাখের মতো মেশিনের প্রয়োজন।