ইসলামের ছায়াতলে নারী তার অধিকার ও সম্মান ফিরে পেয়েছে

বাংলাদেশ ইসলামী মহিলা ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বক্তাগণ

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকাল ৪টায় নগরী আপন গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টার এ বাংলাদেশ ইসলামী মহিলা ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর শাখার ব্যবস্থাপনায় হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রহ.) এর পবিত্র ফাতেহা ও বাংলাদেশ ইসলামী মহিলা ফ্রন্ট এর ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কর্মী সম্মেলন সংগঠনের সভাপতি হাজ্বা কুসুম আক্তার মাইজভাণ্ডারী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এর মাননীয় চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান, উদ্বোধক হিসেবে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআ’ত বাংলাদেশ এর মাননীয় চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীস আল্লামা কাজী মইনুদ্দীন আশরাফী।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআ’ত এর মুখপত্র এ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দীন বখতিয়ার, বিশেষ বক্তা হিসেবে ইসলামী ফ্রট চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর এর সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন মাহমুদ।

প্রধান অতিথি আল্লামা এম এ মান্নান বলেন, প্রায় দেড় হাজার বছর পূর্বে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইসলামের দাওয়াত দেন তখনকার আরব সমাজে নারীরা কতভাবে বঞ্চনার শিকার ছিল, তার চিত্র ইতিহাস সংরক্ষণ করেছে। এর সামান্য একটি নমুনা ছিল, মেয়ে শিশুর জন্মকে গোটা পরিবারের জন্য কলঙ্কজনক মনে করা হত। তাই জন্মের সাথে সাথে তাদেরকে জীবন্ত কবরে পুতে ফেলা হত।

এমন পরিস্থিতিতেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ধূলির ধরায় আবির্ভূত হন। তার প্রচারিত ইসলামের ছায়াতলে নারী তার অধিকার ও সম্মান ফিরে পায়। এ কারণে দেখা যায় নারী তার মানবিক সত্তার পূর্ণ প্রকাশ ঘটিয়ে ইসলামের প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় কালজয়ী ভূমিকা পালন করেন। মুসলিম মহিলারা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের এই দায়িত্ব উপলদ্ধি করে ত্যাগ ও কুরবানীর অনেক নজির স্থাপন করে গেছেন। আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করতে যেতে হযরত খাদিজা (রা) তার সম্পদের সবটুকুই দিয়ে দিলেন।সুমাইয়া (রা) এর উপর নির্যাতনের পাহাড় ভেঙ্গে পড়লেও তিনি ছিলেন আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থাশীল।হযরত আসমা বিনতে আবু বকর এর কাহিনী আরো বিস্ময়কর। তিনি পুত্রকে বলেন, “তুমি জয়ী হয়ে ফিরে আসলে আনন্দিত হবো। কিন্তু তুমি আমার কোলে ফিরে না আসলেও আল্লাহর শোকর আদায় করবো।”এভাবে ইসলাম ধর্মে মহিলারা সামাজিক, শিক্ষা ও রাষ্ট্রীয়ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ দ্বীন ব্যবস্থা তাই পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদেরকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে আগামী প্রজন্মদের নিকট সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ উপহার দিতে হবে।

এতে সৈয়্যদা শাহনাজ আক্তার এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সানজিদা আলম,রুবি আকতার,আমেনা বেগম, নাসিমা আকতার, জাফরিন, শাকেরা, বেবি আকতার,রুজি আকতার, শহর বানু,জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।

Related Articles

Back to top button
close