হারবাং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
কক্সবাজার প্রতিনিধি

গত ১২ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রেখে তাদের ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। এতে তারা গুরুতর আহত হয়।
গতকাল বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার জেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন মরহুম শাহ ফয়েজ আহমদ ফকির (রহঃ) র’ পুত্র শাহজাদা মাওলানা আবুল হাশেম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেছেন, বেশ কিছুদিন ধরে হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম শাহ্ সুফি দরবার শরীফের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করার জন্য খাদেম পরিবারকে চাপ দেন। এতে অস্বীকৃতি জানায় খাদেম পরিবার। এর জের ধরে ২০১৮ সালের ৪’মে চেয়ারম্যান তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে বয়োবৃদ্ধ খাদেম শাহ ফয়েজ আহমদ ফকির ও চার পুত্রকে মারধর করেন। যাহা চকরিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২৯/২০১৮ইং মামলা হয়, যা চলমান। এই ঘটনার মারধরের কারণে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন শাহ ফয়েজ আহমদ ফকির।
সংবাদ সম্মেলনে শাহজাদা মোহাম্মদ আবুল হাশেম অভিযোগ করেন, পিতার মৃত্যু হলে তাদেরকে আরো বেকায়দায় ফেলে দেন চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম। পিতার মৃৃত্যু হলে মৃত্যু সনদ ও ওয়ারিশ সনদ প্রয়োজন পড়ে তাদের। কিন্তু কোনোভাবে এগুলো দিতে চান না চেয়ারম্যান। শেষ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ধারস্থ হন অসহায় খাদেম ফয়েজ আহমদ ফকিরের সন্তানেরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃত্যু সনদ ও ওয়ারিশ সনদ দেয়ার নির্দেশ দিলেও চেয়ারম্যান দিতে গড়িমসি করেন এবং মিথ্যা আশ্রয় নেন। সর্বশেষ গত ১২ সেপ্টেম্বর আবার পরিষদে গেলে তাদের দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম। এক পর্যায়ে আবুল হাশেম, শাহজাহান ও সাজ্জাদ হোসেন সাকিবকে আটক করে কক্ষে ঢুকিয়ে ব্যাপক মারধর করেন। এতে তারা গুরুতর আহত হয়। পেছন থেকে আবুল হাশেম বের হয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার সৈয়দ শামশুত তাবরীজ ও জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করেন। কিছুক্ষণ পর পরিষদ থেকে মোহাম্মদ শাহজাহান ও সাজ্জাদ হোসেন সাকিবকে পরিষদ থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। দুইটা মোবাইল সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সন্ত্রাসী কায়দায় চিনিয়ে নেন। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে একটি অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতিকার না পাওয়াই চকরিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০২৪/২০২১ইং মামলা দায়ের করেন, যাহা পিবিআই কক্সবাজার কে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন খাদেম শাহ ফয়েজ আহমদ ফকির (রহ.)’র পুত্রগণ ও সর্ব মহলের সচেতন নাগরিক সমাজ।
সংবাদ সম্মেলনে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা, ছাত্রসেনার জেলা ও উপজেলা বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।