চিঠিপত্র

বীরত্বস্মারক

মুহাম্মদ আবদুল করিম

বীরত্বস্মারক

মুহাম্মদ আবদুল করিম

 

বইতুল্লাহ হেরেম চত্বরে—
এক মহিয়সী তাওয়াফ করে,
ক্লান্তশ্রান্ত দেহে বিশ্রামের আশায়;
ছুটে আসে খানায়ে কাবার অভ্যন্তরে;
হেথা ফোটে এক বকুল,
আলোকিত করে মাতৃকোল;
খোদার সিংহশাবক হযরত আলী নামেক ফুল।

 

 

আম্মা ফাতিমা বিনতে আসাদ,
জন্মের পর নবির পরশে তোলে;
নবুওয়াতের আলোকরশ্মির চোখেচোখে সাক্ষাত।
অপত্যস্নেহে গড়ে—
অনুপম চরিত্রের অবিস্মরণীয় সফল ব্যক্তিত্বে গড়ন;
সরমে অসামান্য অবদানে ‘আসাদুল্লাহ’ লকব ধারণ।
সৃজনে শ্রেষ্ঠ পরিবার—আহলে বাইতে রসুল,
যেথা শোভাবর্ধক হযরত আলী নামেক ফুল।

হিজরতের নিশীথে—
উপেক্ষা করে কাফির মুশরিকের ভয়,
প্রিয়রসুলের শয়নগাহে আরামে মৃত্যুঞ্জয়।
পরম মমতায় বাড়ে জীবনখালি নির্ভুল—
শেরে খোদা হযরত আলী নামেক ফুল।

 

 

খায়বার; দুর্গম বিজয়ে রাঙ্গা জুলফিকার,
হলো আসমানি শক্তি সঞ্চার।
বেলায়তের উৎস-মূল;
রসুলে মকবুল প্রদেয় রাজদোর—হযরত আলি নামেক ফুল।

 

খোদার ঘরে জন্ম যাঁর, খোদার গৃহেই রক্তপাত
এক যে বহুল দ্বীপ্তজীবন, দানে আল্লাহু আহাদ।
ভুলেছি বসে কূল,
এ আবেদন আকুল—
অন্ধজনে দাওগো মুনিব,
হিদায়তের রাঙা দুল;
শেরে খোদা হযরত আলী নামেক ফুল।