প্রবন্ধ

মাহে রমজানের সওগাত

লেখকঃ মুহাম্মদ মাসুম চৌধুরী।

রহমত বরকত মাগফিরাতের বার্তা নিয়ে মুসলমানদের কাছে প্রতিবছর ফিরে আসে মাহে রমজানুল মোবারক। এ মাসে বিশ্বের মুসলিম সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির ব্রতী হন।

রোজা উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য নতুন কোন বিধান নয়, যার অস্তিত্ব হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে সকল নবী-রাসুলের ধর্মে ছিল। দুনিয়াতে এমন কোন ধর্মমত নাই যার মধ্যে আত্মশুদ্ধি ও পূণ্য সঞ্চয়ের লক্ষ্যে উপবাব্রত পালন করার বিধান নাই।

 

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণনা করেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তােমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ফরজ করা হয়েছিল যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।’

 

সিয়ামের ইতিহাস দেখলে আমরা জানতে পারি, হযরত আদম (আ.) এর উপর চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা ফরজ ছিল। হযরত নুহ (আ.)-এর ধর্মে সকল দিন রোজা রাখতে হতো। হযরত দাউদ (আ.) এর ধর্মে একদিন পর পর রোজার বিধান ছিল। হযরত মুসা (আ.)-এর উপর ১০ মহররম রোজা রাখা ফরজ ছিল। মহান আল্লাহতা’য়ালা ৩০ রোজা ফরজ করেন মহানবী হযরত মুহম্মদ (দ.) এর উপর পবিত্র রমজান মাসে এবং তিনিই তাঁর পবিত্র কালাম কোরআন মজিদে ইরশাদ করেছেন, রমজান মাস যে মাসে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে, মানুষের জন্য হেদায়ত স্বরূপ। তাতে রয়েছে প্রকাশ্য প্রমাণসমূহ যা হেদায়ত ও সমাধান দানকারী। অতএব, তোমাদের মধ্যে যদি কেউ এ মাসের সাক্ষাত পায় সে যেন পূর্ণ মাস রোজা রাখে। আর যদি কেউ অসুস্থ কিংবা মুসাফির হয় তবে সে অন্য সময়ে রোজা আদায় করে নিবে। আল্লাহপাক তোমাদের ব্যাপারে সহজ পন্থা অবলম্বন করতে চান এবং তোমাদের সাথে কঠোরতা কামনা করেন না। আর যাতে তোমরা রোজার পরিমাণ পূর্ণ করতে পারো। (আর এই রোজা তোমাদের প্রতি এ কারণে ফরজ করা হয়েছে যে) যাতে তোমরা হেদায়ত প্রাপ্তির পর আল্লাহ তা’য়ালার মহত্ব বর্ণনা করতে পারে। কেননা হেদায়ত তা তিনিই অনুগ্রহ করে দিয়েছেন।

 

সুতরাং তোমরা যেন আল্লাহ তায়ালারই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। (সূরা বাকারা, আয়াত:১৮৫)।