আহলে-সুন্নাত-ওয়াল-জামাআত

নবীজির শানে এমন অবমাননাকর মন্তব্যই প্রমাণ করে বিজেপি সরকার মুসলিম ধর্ম বিদ্বেষী

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

মহানবী (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য ঈমানী চেতনার উপর চরম আঘাত বিক্ষোভ সমাবেশে আহলে সুন্নাতের বক্তারা

আজ (১১ জুন, ২০২২) বিকাল ৩টায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম’আত বাংলাদেশ ঢাকার উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে ভারতের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ট সহচর কট্টরপন্থী দল বিজেপির মুখপাত্র কর্তৃক রাসুলুল্লাহ (দ.) এঁর শানে কটূক্তি ও চরম অবমাননাকর মন্তব্য করার প্রতিবাদে ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মুহাম্মদ আবদুল আলিম রেজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের চেয়ারম্যান শাইখুল হাদীস কাজী মুঈন উদ্দিন আশরাফী বলেন- মহানবী (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য ঈমানী চেতনার উপর চরম আঘাত। রাসুলুল্লাহ (সা.) এঁর শানে কটূক্তি ও চরম অবমাননাকর মন্তব্য করায় গোটা মুসলিম বিশ্বের হৃদয়ে আগুন জ্বলছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব মহান আল্লাহ পাকের মনোনীত প্রিয় নবীকে নিয়ে নূপুর শর্মা ও প্রধান নবীন কুমার জিন্দাল যে মারাত্মক মন্তব্য একজন ঈমানদার মেনে নিতে পারেনা। এটা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরী করার একটা ইস্যু মাত্র। রাসূলের (সা.)’র প্রতি এমন অবমাননাকর মন্তব্যই প্রমাণ করে ভারতের বিজেপি সরকার মুসলিম ধর্ম বিদ্বেষী।

 

তিনি আরও বলেন- তার কট্টর বক্তব্যের কারণে দল থেকে বহিষ্কার করা মানে দায়িত্ব শেষ হয়ে যাওয়া নয় তাঁকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যাতে ঘাপটি মেরে থাকা অসংখ্য শর্মারা এ অঞ্চলের সাম্প্রদায়িক -সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে।

 

ষ্টান্ডিং কমিটির সিনিয়র সদস্য এম এ মতিন প্রধান বক্তার বক্তব্যে বলেন- আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে চলতি জাতীয় সংসদের অধিবেশনে নিন্দা প্রস্তাব পাস করতে হবে। ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে নিন্দা জানাতে হবে এবং জবাব চাইতে হবে। নইলে আগামীতে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি দিতে বাধ্য হব।

 

ম ম জিলানী ও আবদুল হাকিমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব রাখেন- সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদী, মুফতি আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক, কাজী মুহাম্মদ মোবারক হোসাইন ফরায়েজী, মুফতি মাহমুদুল হাসান কাদেরী, আবদুল মালেক বুলবুল, মোহাম্মদ কাশেম, এডভোকেট মাহবুবুল আলম আশরাফী, আলহাজ্ব আবুল হাশেম, গোলাম কিবরিয়া, মাওলানা মুহিউদ্দীন হামিদী, কাজী জসিম উদ্দীন সিদ্দীকি, ড. মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন নঈমী, মুহাম্মদ মাঈনুদ্দীন হেলাল, পীর সিরাজুল আমিন রেজবী, পীর ওয়ালী উল্লাহ আশেকী, মোহাম্মদ ইকবাল, মুফতি এহসানুল হক বারী জিহাদী, নাজমুস সাদাত ফয়েজী, সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান আজহারী, আবদুল মোস্তফা রাহীম আজহারী, এনাম রেযা কাদেরী, মাও. ফরহাদুল ইসলামী বুলবুলি, মাও. হারুনুর রশিদ সিদ্দীকি, আনিসুর রহামন আনিস, এডভোকেট জালাল উদ্দীন, সাইফুদ্দীন আহমদ, সিদ্দীকুর রহমান সরকার, আব্দুল্লাহ আল জাবের, অধ্যাপক মুফিজুল ইসলাম, মোহাম্মদ হোসেন, অধ্যক্ষ আবু নাসের মুসা, মুহাম্মদ ইমরান হুসাইন তুষার, হাজী রুবেল হোসেন, পীরজাদা শাহ মোহাম্মদ আবদুর রহিম।

 

আরও বক্তব্য রাখেন মুফতি এম এ মুবিন আনোয়ারী, শাকুর মিয়া, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, মাও. তৌহিদুল আলম, মাও. রফিকুল ইসলাম কিশোরগঞ্জি, ডা: গাজী আবুল কাশেম, মাও. ওবায়েদ উল্লাহ, মুফতি কাজী মুহাম্মদ মুফিজুল ইসলাম, মাও. আহমদ রেযা, মোহাম্মদ কবির হোসেন, মাও. মারুফ বিল্লাহ আশেকী, মুহাম্মদ মুহিউদ্দীন, মাও. মিজানুর রহমান থোকন, মাও. ফখরুদ্দীন আবেদী, মাও. শফিকুল ইসলাম তাহেরী, কে এম মোবারক হোসেন, মোহাম্মদ হাসান, মুফতি ইদ্রিস হোসেন কাদেরী, মুফতি আমিনুল ইসলামী শেরপুরী, হাফেহ জাহাঙ্গীর আলম, মাও. দেলোয়ার হোসেন মানজুরী, মাও. কামরুজ্জামান পাটওয়ারী, হাফেজ মুহাম্মদ ওমর ফারুক, কাজী জসিম উদ্দীন নুরী, মুহাম্মদ কবির, নাজমুল হক, আমান উল্লাহ সুন্নী প্রমুখ।

 

শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূণরায় নাইটেঙ্গেলে এসে মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।